ABOUT পুরনো ড্রাগন ফল গাছের যত্ন

About পুরনো ড্রাগন ফল গাছের যত্ন

About পুরনো ড্রাগন ফল গাছের যত্ন

Blog Article

জলবায়ু ও মাটি : ড্রাগন ফলের জন্য শুষ্ক জলবায়ু দরকার। মাঝারি বৃষ্টিপাত ভালো। তবে অধিক বৃষ্টি হলে ফুল ঝরে যায় ও ফলে পচন দেখা যায়। পানি জমে না এমন উঁচু যেকোনো মাটিতে ড্রাগন ফল চাষ করা যায়। রোদ, খোলামেলা জায়গা ও প্রচুর জৈবসারে গাছের বৃদ্ধি ভালো হয়।

কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার মেনু নির্বাচন করুন

রমজান মাসে কৃষি কাজে পানি দেয়ার সহজ পদ্ধতি

ভার্টিক্যাল গার্ডেনে অটোমেটিক ড্রিপ ইরিগেশন সিস্টেম

মিরসরাইয়ে ৬ হাজার ২১০ হেক্টর জমিতে ডাল চাষ

ড্রাগন ফলে রয়েছে ভিটামিন ই এবং ভিটামিন সি। এছাড়াও রয়েছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। সামগ্রিকভাবে বললে ড্রাগন ফলের মধ্যে রয়েছে আমাদের দেহের জন্য বেশ উপকারি পুষ্টিগুন এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাদ্য হিসেবেও একে গণ্য করা হয়। শরীর রক্ষার্থে এবং সুস্থ্য থাকতে ড্রাগন ফলের পুষ্টিগুণ বেশ কার্যকারী। তাই সামর্থ্য থাকলে অথবা নিজে চাষ করে শরীর সুস্থ্য রাখতে এবং দেহের পুষ্টির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে ড্রাগন খেতে হবে।

চট্টগ্রাম নন্দন হাউজিং সোসাইটির একটি আমের বাগানে অটোমেটিক ড্রিপ ইরিগেশন সিস্টেম

নাশপাতি চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত

আমাদের মানব শরীরের জন্য লাল ড্রাগন ফলের উপকারিতা অনেক। এমনিতে ড্রাগন মোটামোটি কয়েক রঙ্গের হয়ে থাকে। তবে আমাদের দেশে বর্তমানে বেশি দেখা যায লাল ড্রাগন এবং সাদা/গ্রে কালারের। কিন্তু লাল ড্রাগনের কিছু অতিরিক্ত উপকারিতা রয়েছে। উদাহরণসরূপ লাল ড্রাগন খাওয়ার মাধ্যমে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়, শ্বাস প্রশ্বাস ঠিক রাখতে সহায়তা করে। এছাড়াও রয়েছে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বেশ উপকারিতাসহ ওজন হ্রাস করা, হৃৎপিন্ড ভালো রাখা, হজমে সহায়তা করা, ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি ইত্যাদি হলো লাল ড্রাগন ফলের উপকারিতা।

সার প্রয়োগ : মাছ, মাংস ও তরকারি ধোয়া পানি গাছে ব্যবহার করলে গাছের খাবারের অভাব কিছুটা পূরণ হয়। এছাড়াও মিশ্র সার, হাড়ের গুড়া মাঝে মাঝে এবং অনুখাদ্য (দস্তা, বোরন, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ) বছরে একবার প্রয়োগ করা ভালো। মাছের কাঁটা, হাড়ের টুকরা, ডিমের খোসা, তরিতরকারির পরিত্যক্ত অংশ, পাতা, একটা ড্রামে পঁচিয়ে নিয়ে ছাদ বাগানে ব্যবহার করা ভালো। কয়েক বছরের বয়স্ক গাছের গোড়ার চারধারে সাবধানে কিছু মাটি উঠিয়ে ফেলে নতুন ভাবে পটিং মিডিয়া দিয়ে ভরাট করা হলে গাছের স্বাস্থ্য ফেরানো সহজ হয়। সম্ভব হলে গাছকে ছাঁটাই করে কিছু মাটিসহ উঠিয়ে নিয়ে সার মিশ্রিত মাটি পরিবর্তন করার ব্যবস্থা নেয়া যায়। এ ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা ছাড়া আগানো উচিত হবে না। জেনে শুনে তা করা যেতে পারে। অপেক্ষাকৃত ছোট টব থেকে বড় টবে গাছ অপসারণ করার মাধ্যমে গাছকে স্বাস্থ্যবান করা যায়। যারা ছাদ বাগানে অভিজ্ঞ তাদের বাগান পরিদর্শন করে ও সফলতার দিকগুলো জেনে বা দেখে শিখে তা নিজ বাগানে প্রয়োগ করা উত্তম। ফুল-ফল ঝরা রোধে ও ফল ধরা বাড়াতে নানা প্রকার অনুখাদ্য/হরমোন (সিলভামিক্স, লিটোসেন, ফ্লোরা প্রয়োগ করে অনেকে সুফল আহরণ করে থাকে।

মানিপ্ল্যান্ট উদ্ভিদ সবচেয়ে বড় সুবিধা হল মাটি ছাড়াও জলে সুন্দর ভাবে বেড়ে উঠে । তবে চাইলেও আপনি মাটিতেও প্রতিস্থাপান করতে পারেন, সেক্ষেত্রে জল নিষ্কাশনের সুবিধাযুক্ত মাটি তৈরী করতে হবে। পরিবেশ এবং আমাদের সুস্থতার জন্য মানিপ্ল্যান্ট গাছের বেশ কিছু উপকারিতা রয়েছে যা নিম্নে উল্লেখ করা হয়েছে।

ড্রাগন গাছের জন্য দিনে কত ঘন্টা সূর্যের আলা প্রয়োজন?

প্রিয় পাঠক, এই প্রতিবেদনটি পঠন করবার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আপনার মতো পাঠকের সহযোগিতা “ক্রিয়েটিভিটি গার্ডেনিং” সর্বদা কাম্য করে। গাছই আমাদের একমাত্র সম্পদ যা আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুরক্ষিত করতে পারে, read more বাঁচিয়ে রাখতে পারে। নিঃস্বার্থে গাছ ভালবাসুন, সকলকে গাছ লাগাতে উৎসাহিত করুন।

এপ্রিল-মে মাস থেকে গাছে ফুল আসতে শুরু করে, ফুল আসার ২০ থেকে ২৫ দিনের মধ্যে ফল তৈরী হয়। অক্টোবর থেকে নভেম্বর পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে ফুল ও ফল ধরা অব্যাহত থাকে।

Report this page